৪ মে, বুধবার, আর্লিংটন পাবলিক স্কুলস তার অনুকরণীয় কর্মচারীদের, যারা তাদের সহকর্মী, ছাত্র এবং কমিউনিটির সদস্যদের দ্বারা মনোনীত হয়েছেন, তাদের সম্মান জানাতে বার্ষিক "সেলিব্রেশন অফ এক্সিলেন্স" অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্কুল বোর্ডের একজন সদস্য হিসাবে, অনুষ্ঠানে থাকতে পারা এবং সম্মানিত হওয়া এগারোজন শিক্ষক, সহকারী এবং অধ্যক্ষকে স্বীকৃতি প্রদান ছিল একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। সম্মানিতদের একজন, আইরিস গিবসন, যিনি ল্যাংস্টন হাই স্কুল কন্টিনিউয়েশন প্রোগ্রাম-এর ব্যবসায় শিক্ষার একজন শিক্ষক এবং তিনি একটি বক্তৃতা দিয়েছেন যা আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে। এটি জাতীয় শিক্ষক সম্মাননা সপ্তাহ (National Teacher Appreciation Week) আর আইরিসের কথাগুলি আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে শিক্ষার কাজটি কতটা জীবন-পরিবর্তনকারী, জটিল এবং বিস্ময়কর হতে পারে। আমি কখনোই তার মত এতো সুন্দর করে বলতে পারতাম না এবং তিনি আমাকে তার কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার অনুমতি দিয়েছেন। ________________ আমি এই পুরস্কারের পেয়ে যার পর নেই সম্মানিত বোধ করছি। আমার কাছে মাত্র পাঁচ মিনিট আছে তাই আমি দ্রুত এপিএস এবং আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা চরম কঠিন একটি বছরে, এই পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করেছেন। এবং প্রতিটি পুরষ্কারের পেছনেই সাধারণত একজন ত্যাগী স্বামী বা স্ত্রীর গল্প থাকে এবং আমিও এমন একজনকে আমার পাশে পেয়েছি। আমার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার নিয়ে যে কমিউনিটি সেটি যেন মার্ক শিল্ডস-এর একটি উদ্ধৃতির মূর্ত প্রতীক, উক্তিটি এমন: "আমরা কেউই নিজেদের খনন করা কূপ থেকে পানি পান করি না।" ধন্যবাদ। আমি সৌভাগ্যবান, আমার আর্লিংটনে দারুণ কিছু স্কুল এবং প্রোগ্রামে পড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে, যেখানে আইবি বা স্প্যানিশ ইমার্সন থেকে শুরু করে ভোকেশনাল শিক্ষা বা জীবনমুখী শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নানান ধরনের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও আমার নিজের ল্যাংস্টনে এমন সব ছাত্রদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে যাদের বড় কোনও হাই স্কুলে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এপিএস ছাত্রদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে আর এজন্য আমার নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। ৩০ বছর আগে, আমার স্বামী এবং আমি ড. কর্নেল ওয়েস্টের কথা শুনতে সিয়াটলের একটি ছোট চার্চে গিয়েছিলাম। তিনি এমন কিছু কথা বলেছিলেন যা দশকের পর দশক ধরে আমার মাথায় গেঁথে আছে। তিনি বলেছিলেন, "আপনার ভালোবাসার মধ্যেই আপনি বেঁচে থাকবেন।" আপনার ভালোবাসার মধ্যেই আপনি বেঁচে থাকবেন। আমি শিক্ষকতা ভালোবাসি। আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোবাসি। আমি হাই স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকতা শুরুর আগে একটি কলেজে অর্থনীতি পড়াতাম। কেউ যদি আমাকে বলতো যে আমার সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ছাত্রীটি কখন ভীতিকর কণ্ঠস্বর শুনছে এবং কখন অদ্ভুত কণ্ঠস্বর শুনছে আমি তা বলে দিতে পারবো, আমি অবশ্যই তার দিকে আড়-চোখে তাকাতাম। কেউ যদি আমাকে বলতো যে, আমি কোনও ছাত্রকে একান্তে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করবো সে নিজের কোন ক্ষতি করার কথা ভাবছে কি না, আমি হয়তো আতঙ্কিত হয়ে পড়তাম। কেউ যদি আমাকে বলতো যে, আমাকে কোনও হোমওয়ার্ক ছাড়াই ক্লাসে বসে প্রয়োজনীয় সকল পাঠ তৈরি করতে হবে কেননা আমার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল থেকে সরাসরি কাজে চলে যায় এবং সপ্তাহে ২০, ৪০ এমনকি ৬০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করে নিজেদের ব্যয় বহন করে এবং বাড়িতে টাকা পাঠায়, আমি হয়তো অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কেউ যদি আমাকে বলতো যে, আমি আমার কোন ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে একটি খোলা ক্যাসকেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব আর আমার সহকর্মী এরিকা মেয়েটির বাবাকে বলবে যে, আমরা তার মেয়েকে নিয়ে অনেক গর্বিত….নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। কিন্তু এরপর আমার "পিতামাতার" ভূমিকা পালনেরও সুযোগ হয়েছে, যখন গুয়াতেমালা থেকে একা একা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা এক শিক্ষার্থীকে মেরিমাউন্ট ইউনিভার্সিটির নবীন ছাত্রদের সংবর্ধনায় সাথে যেতে হয়েছে। পরে আমাকে টেক্সট করে জানানো হয় যে, সেই শিক্ষার্থী ডিনের তালিকায় স্থান পেয়েছে। আবার। আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে যেখানে, আমার CTE পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমার ছাত্র বা ছাত্রী আক্ষরিক অর্থেই আমাকে তুলে নিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়েছে, স্নাতক সম্পন্ন করার জন্য শেষ পরীক্ষা, যেটি তার নিজের, তার ডিপ্লোমা এবং মেরিন হওয়ার পথে একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমার সেই ছাত্রটিকে দেখার সুযোগ হয়েছে যে এক সময় কিশোর আদালতের (juvenile justice system) কাঠগড়া থেকে কলেজে কিশোর বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে পড়াশুনা করেছে। এবং একজন শিক্ষার্থীর চেহারায় সরল কৃতজ্ঞতা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে যখন আমি তাকে "মেয়ের" পরিবর্তে "ছেলে" হিসেবে সম্বোধন করেছি। এমনকি একবার একজন আমাকে ভুল করে "মা" বলেও ডেকেছিল। আর হ্যাঁ, আমি হাই স্কুলে পড়াই। এ এক পরম পাওয়া। যতই সময় গড়িয়েছে আমার মধ্যে এই ধারনাটি আরও বদ্ধমূল হয়েছে যে, শিক্ষার মূল বিষয় হচ্ছে সম্পর্ক। আপনারা সম্ভবত মায়া অ্যাঞ্জেলোর সেই বিখ্যাত উক্তিটির সাথে পরিচিত: "আমি শিখেছি যে, মানুষ আপনার মুখের কথা ভুলে যাবে, আপনার কাজের কথা ভুলে যাবে, কিন্তু মানুষ আপনার আচরণের কথা কখনই ভুলবে না।" আমার একজন প্রাক্তন ছাত্র স্নাতক সম্পন্ন করার পর আমাকে একটি ছোট প্লাক দিয়েছিল, সেটি এখনও আমার ডেস্কে শোভা পাচ্ছে। এটিতে খোদাই করে লেখা আছে, আমি যা বলেছি তার সবকিছুই হয়তো তার মনে থাকবে না, কিন্তু আমার কাছে সে যে মর্যাদা পেয়েছে তা সে কখনই ভুলতে পারবে না। আমি নিজে নিজে ভাবি, দুটোই নয় কেন? (আমি সত্যিই চাই, ক্রেডিট কার্ড বিলের ন্যূনতম পেমেন্ট করার বিষয়ে আমি যা বলেছিলাম তা যেন তোমার মনে থাকে…) আজ সারাদেশে সবাই আশা করেন, শিক্ষকরা অতিমানবীয় কীর্তি করবেন। এমনটা ভাবা ঠিক নয়। এটা আমাদের কাঁধে খুব বেশি বোঝা হয়ে যায় এবং আমি জানি এটি বেশ ক্লান্তিকরও হতে পারে। শিক্ষকদের বার্নআউটের ঘটনা এখন বাস্তব এবং আমাদের একে অপরের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলতে হবে এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে আমাদের নিজেদের এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা নিয়ে কথা বলা দরকার। কিন্তু আপনি প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ভালোবাসার মধ্যেই আপনি বেঁচে থাকবেন। আসুন সেই ভালোবাসার জায়গাটিকে আমরা আরও ভালো করে তুলি। ধন্যবাদ। ২০২২ সালে আর্লিংটন পাবলিক স্কুলের বছরের সেরা শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার পাওয়া, আইরিস গিবসনের বক্তৃতা, যা ২০২২ সালের ৪ মে সেলিব্রেশন অফ এক্সিলেন্স অনুষ্ঠানে দেওয়া হয়।
0 Comments
Leave a Reply. |