আপনি যদি ইদানীংকালে কিশোর (এবং শিশু)-দের নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে লেখা পড়ে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত শিরোনামে "সংকট" বা "বাচ্চারা ভালো নেই" শব্দটি অন্তর্ভুক্ত ছিল (গুগল করে দেখুন)।
আমিও একবার এই শব্দগুলি নিয়ে ভাবনা -চিন্তা করেছিলাম, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার মনে হয়েছিল যে এর মধ্যে দিয়ে আমরা তরুণদের কাছে কী বার্তা পাঠাচ্ছি তা বিবেচনা করা উচিত। আমাদের এই ধরনের কথা বলার অর্থ, পুরো একটা প্রজন্মকে দাগিয়ে দেওয়া। ('শিক্ষা-দীক্ষা হারিয়ে যাচ্ছে' এই শব্দটি নিয়েও আমার একই সমস্যা আছে)। ৪০ বছর বয়সী প্রায় ৫০% মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হন বা সেই সমস্যা তাদের ভিতরে থাকে। আমারও ছিল এবং আমাকে দাগিয়ে দেওয়া, কোনও আশা নেই বা এ একেবারে অন্যরকম-এধরনের কথাগুলো বলাতে কোনোভাবেই আমার কোনও সহায়তা হয়নি। এটা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে: অন্যান্য বহু মানুষও তাদের জীবনে কোনও না কোনও সময় এমনটা অনুভব করেছেন। আপনার সমস্ত গুণ এবং প্রতিভা নিয়ে, আপনি এখনও আপনিই আছেন, যা আপনাকে একজন দারুণ সুন্দর মানুষ করে তুলেছে। এমনটা চিরকাল থাকবে না। এক্ষেত্রে অনেক ভাবে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। জর্জটাউন হাসপাতালের কিশোর ও শিশু সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান ম্যাথু বিয়েল বলেন, "এই সম্পর্কে কথা বলার সময় একে মানুষের পরিস্থিতির একটি অংশ হিসাবে দেখুন, যতগুলো জায়গায় মানুষ সময় ব্যয় করে সর্বত্র।" একথা বহুলাংশে ঠিক যে, আগের বছরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক তরুণ আজ মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলি রিপোর্ট করছেন। মহামারীটি নিঃসন্দেহে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর তার কুপ্রভাব ফেলেছে, তবে ২০২০ সালের আগে থেকেই কোথাও যে একটা সমস্যা চলছে তার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। খাদ্য, ঘুম এবং শরীরচর্চা-এর ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে প্রচুর গবেষণা ও আলোচনা হয়েছে; এবং সেইসঙ্গে নতুন নতুন ওষুধের আবিষ্কার হয়েছে যা আগের তুলনায় বেশি আসক্তি তৈরি করে। আমরা যখন "কী ঘটছে?" এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব তখন, এর পাশাপাশি, আমাদের এর ওপরেও আস্থা রাখতে হবে যে "এটা চিরস্থায়ী নয়। এক্ষেত্রে অনেক ধরনের সহায়তা পাওয়া যেতে পারে।" "সংকট"-এর একটি অংশ হল যাদের সাহায্যের প্রয়োজন ঠিক সময়ে আমরা যাতে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। অন্যান্য কমিউনিটিগুলোর মতোই, আর্লিংটনে, চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের কাছে শিশু এবং কিশোরদের সাথে কাজ করেন এমন যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক নেই এবং পরিবারগুলি সরকারি এবং প্রাইভেট প্রোভাইডারদের জন্য অপেক্ষা করার তালিকায় রয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে সত্যিই সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা তরুণদের ভর্তি করে নেওয়ার মত পর্যাপ্ত সংখ্যক রোগী শয্যা নেই। সমাধান করা কঠিন এমন ধরনের সমস্যায় পড়লে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়াই স্বাভাবিক। একটি জাতি হিসাবে (বিশ্ব?) যেভাবে মানসিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগ করা উচিত ছিল তা আমরা কখনই করি নি। আমার হাতে কোনো জাদুদন্ড নেই যা ঘুরিয়ে আমি মানসিক স্বাস্থ্য প্রদানকারীর কোনও নতুন বাহিনী তৈরি করতে পারব। তবে স্থানীয়ভাবে, আমরা আরও ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে পারি। আমি আমাদের কমিউনিটিতে ইতিমধ্যেই কী কি ব্যবস্থা রয়েছে এবং আরও কী কী করা যেতে পারে তা বুঝতে অনেকের কথা শুনছি, পড়ছি এবং অধ্যয়ন করছি। আমি এখানে যা শিখেছি তা সংকলন করেছি, তার মধ্যে আর্লিংটনের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি এমন বারোটি পদক্ষেপও অন্তর্ভুক্ত আছে। নিচে তার কয়েকটি শেয়ার করছি। আপনি একা নন আর্লিংটনে, গ্রেড ৪-৫-এর ১৪% এবং গ্রেড ৬-১২-এর ২৩% শিক্ষার্থীরা হয় নিজেদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একেবারেই সংযুক্ত বলে মনে করে না নয়ত সামান্য সংযোগ আছে বলে মনে করে। আমাদের গ্রেড ৪-১২-এর প্রতি ৩জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১জন বলছে যে সাহায্যের প্রয়োজন হলে কথা বলতে পারে, স্কুলের বাইরে এমন কোনও বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তাদের জানা নেই। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক অসাধারণ নিরাপত্তা কবচ হল--নিজেদের মধ্যে আরও সংযোগ গড়ে তোলা এবং এই জায়গার অন্তর্গত বলে নিজেকে মনে করতে পারা এই বোধ গড়ে তুলতে আমরা যে পদক্ষেপগুলি নিতে পারি--তার মধ্যে পড়ছে:
স্কুল ক্যাম্পাসে সহজে অ্যাক্সেস পাওয়া অনেক কমিউনিটিই চিকিৎসা, আচরণগত সমস্যা, দাঁতের যত্ন এবং চোখের যত্নের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি সরাসরি স্কুলে স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যাতে সমস্ত তরুণরা সহজে সেগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে। আমাদের কাছাকাছি কমিউনিটির মধ্যে এটি দেখতে কেমন তা এখানে দেখুন:
সবশেষে আমি একটি চূড়ান্ত কথা বলব: যদি আমরা সত্যিই চাই যে আমাদের তরুণ প্রজন্ম নিজেদের সক্ষম, দক্ষ এবং মূল্যবান বলে মনে করুক তাহলে তাদের সাথে আমাদেরও সেইভাবেই আচরণ করতে হবে। এবং এর অর্থ হল একটি মানব-কেন্দ্রিক ডিজাইন পদ্ধতি ব্যবহার করা যা তাদের ধারণাগুলির ওপরই কেন্দ্রীভূত থাকবে এবং তাদের সুবিধার্থে আমরা যে প্রোগ্রাম বা সমাধান তৈরি করব সেখানে তাদেরও জড়িয়ে নিতে হবে। আমরা আরও জানি যে বেঁচে থাকার একটি উদ্দেশ্য আছে এমন অনুভূতি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখে— অর্থাৎ আনন্দের সঙ্গে বলা যায় যে সমাধানটির সহ-নির্মাতা তরুণ ব্যক্তিটির হয়ত এর প্রয়োজন নাও হতে পারে।
0 Comments
Leave a Reply. |